মহররম ও আশুরা: গুরুত্ব ইতিহাস ও করণীয় বর্জনীয়

লিখেছেন- হাফিজ মুফতি আব্দুর রাহমান রাহমানী

আশুরার রোজা

১৪৪৫ হিজরী সমাপ্ত ১৪৪৬ হিজরী সমাগত। আরেককটি নতুন হিজরী বর্ষের সূচনা।

শুধু কি সূচনা? না কি তা এসেছে অনেক প্রাপ্তি ও ক্ষয়ের সিড়ি বেয়ে? কাজেই এখানে বিবেচনা করতে হবে দু’টো বিষয়ের-অতীতের এবং আগামীর।

অতীতের যে সময়টুকু আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি মোতাবেক কেঠেছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা আর যা ভুল-ত্রুটি হয়েছে তা শুধরে নিয়ে সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে সামনের দিনগুলা কল্যাণকর করে গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।

তবে এটা যে সেফ বছর মাস বা সপ্তাহকেন্দ্রিক ততা নয়। একজন আল্লাহ ভীরু মুসলমান প্রতিদিন তার কর্মের হিসাব রাতে শুয়ার আগে কষে, ভুল হলে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চায় আর ভালর জন্য শোকরগোজার করে এবং গেলদিনের চেয়ে আগামী দিনকে অধিক লাভমান করার চেষ্টা করে।

এক হাদীসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-‘… সকল মানুষ প্রত্যুষে উপনীত হয় এবং নিজের সত্তাকে বিক্রি করে-হয় আল্লাহর কাছে বিক্রিত হয়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভ করে, নতুবা শয়তানের কাছে বিক্রিত হয়ে নিজেকে ধ্বংস করে।’- (সহীহ মুসলিম ৩/১০০)

তাই কালেরর আবর্তন আর সময়ের বিবর্তন শুধু বছর মাস বা সপ্তাহও নয়, প্রতিটা দিনই মানুষের তার কাজের হিসাব-নিকাশের জানান দেয় তার মহান মালিকের জন্য।

সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেছেন, ‘যখন তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হও তো প্রত্যুষের অপেক্ষা করো না আর প্রত্যুষে করো না সন্ধ্যার অপেক্ষা। সুস্থতার সময়ই অসুস্থতার কথা মনে রেখে কাজ কর, আর জীবন থেকেই সংগ্রহ কর মৃত্যুর পাথেয়। হে আল্লাহর দাস, তুমি জান না, আগামীকাল তোমার উপাধী কী হবে (জীবিত না মৃত)।- (জামে তিরমিযী ৪/৫৬৮)

তাই সমস্ত মুসলমানের কর্তব্য হল সচেতনতা সাথে ছোট-বড় যেকোনো উপলক্ষকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষে নতুন মাত্রা যোগ করা।

পবিত্র কুরআনে ও হাদীস শরীফে এ মাস সম্পর্কে যা এসেছে তা হল, এটা অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ সময়। কুরআনের ভাষায় ‘আরবাআতুন হুরুম’-অর্থাৎ চার সম্মানিত মাসের অন্যতম এই মাস।

আল্লাহ তাআলা কর্তৃক নির্ধারিত ৪ সম্মানিত মাস।

জিলকদ। জিলহজ্ব। রজব ও মহররম।

আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘নিশ্চয় আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাস বারটি। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না। আর মুশরিকদের সঙ্গে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে। আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সঙ্গে রয়েছেন।’ (সুরা তাওবাহ : আয়াত ৩৬)

চার মাসের মধ্যে অন্যতম ফযীলতপূর্ণ এই মহররম।

এ মাসে রোযা রাখার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রমযানের পর আল্লাহর মাস মুহাররমের রোযা হল সর্বশ্রেষ্ঠ।’-(সহীহ মুসলিম ২/৩৬৮)

এর মধ্যে আশুরার রোযার ফযীলত আরো অনেক বেশি।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোযা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (-সহীহ বুখারী ১/২১৮)

হযরত আলী রা.কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল, রমযানের পর আর কোন মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোযা রাখার আদেশ করেন? তিনি বললেন, এই প্রশ্ন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জনৈক সাহাবী করেছিলেন, তখন আমি তাঁর খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘রমযানের পর যদি তুমি রোযা রাখতে চাও, তবে মুহররম মাসে রাখ। কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন।’ (-জামে তিরমিযী ১/১৫৭)

অন্য হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোযার কারণে আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের (সগীরা) গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।’ (-সহীহ মুসলিম ১/৩৬৭; জামে তিরমিযী ১/১৫৮)

আশুরার রোযা সম্পর্কে এক হাদীসে এসেছে যে, ‘তোমরা আশুরার রোযা রাখ এবং ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ।’ (-মুসনাদে আহমদ ১/২৪১)

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যদি আমি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলে ৯ তারিখেও অবশ্যই রোযা রাখব।’ (-সহীহ মুসলিম ১/৩৫৯)

আশুরার ইতিহাস করনীয় ও বর্জনীয়:

মহররমের ১০ তারিখকে বলে আশুরার দিন। এই দিনে দুনিয়ার শুরু থেকে নিয়ে শেষ অবধি অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটবে ইনশাল্লাহ।

হজরত মূসা আলাইহিস সালাম এবং তার সাথীদের ফেরাউন ও তার সৈন্যদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা। যেখানে দরিয়ায় রাস্তা বানিয়ে আল্লাহতায়ালা তাদেরকে নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছেন।

এই রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করার সময় ফেরাউন ও তার সৈন্যদের দরিয়ায় ডুবিয়ে ধ্বংস করার ঘটনা।

এই দুই ঘটনা বিভিন্ন সহিহ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। সহিহ বোখারি ও সহিহ মুসলিমসহ হাদিসের অনেক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।

ইতিহাসে পাওয়া যায়, আশুরার দশ তারিখে অত্যাচারী শাসক ফেরাউনের হাত থেকে আল্লাহতায়ালা বনী ইসরাঈলকে রক্ষা করেন। ফেরাউনের ওপর বিজয় দান করেন। এ জন্য দিনটিকে মুসলিম মিল্লাতের বিজয়ের দিন বলা হয়। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর বনী ইসরাঈলকে আমি পার করে দিয়েছি নদী। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও সেনাবাহিনী, দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশ্যে। এমনকি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল, তখন বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে, কোনো মাবুদ নেই তাকে ছাড়া যার ওপর ঈমান এনেছে বনী ইসরাঈলরা। বস্তুত আমি তারই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। এখন একথা বলছ। অথচ তুমি ইতোপূর্বে নাফরমানি করেছিলে এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে। অতএব আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।’ (-সূরা ইউনুস: ৯০-৯২)

অনেক কিতাবে লেখা আছে, আশুরার দিনে কিয়ামত সংগঠিত হবে। আবার কোনো কোনো রেওয়ায়েতে বলা হয়, আশুরার দিনে হজরত আদম আলাইহিস সালামের তওবা কবুল হয়েছে

কিন্তু এই রেওয়ায়েতগুলার সনদ খুবই দুর্বল। এ ছাড়া আরও কিছু রেওয়ায়েতে এই কথা এসেছে, সেগুলো মওযু ও দুর্বল।

হজরত নূহ আলাইহিস সালামের কিশতি যেদিন জুদি পাহাড়ে থেমেছিল সেই দিনটি ছিল আশুরার দিন। এই রেওয়ায়েতও দুর্বল। তবে একথা মুসনাদে আহমাদের একটি রেওয়ায়েতে এসেছে। কিন্তু তার সনদটাও দুর্বল।

আর একথাও চাউর আছে হজরত ঈসা আলাইহিস সালামের জন্ম আশুরার দিন হয়েছে।কিন্তু এটাও সহিহভাবে প্রমাণিত নয়।

আশুরার দিনের মর্যাদা বুঝাতে গিয়ে অন্যতম একটি বিষয় আমাদের দেশের সংবাদপত্র থেকে শুরু করে আশুরাকেন্দ্রিক যাবতীয় আলোচনায় বেশিরভাগ একটি ঘটনাই আলোচনা হয়। কারবালার ঘটনা।

অবস্থায় বুঝা যায়, আশুরায় শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছে। আশুরা তাৎপর্যময় হয়েছে কারবালার কারণে। কিন্তু বিষয়টি কি এমন? তা নয়।

হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের প্রায় ৫০ বছর পর ৬১ হিজরির ১০ মহররমে কারবালায় হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা আশুরার দিনের সঙ্গে মিলে যাওয়া একটি ঘটনাবিশেষ। আশুরার আমলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো বিষয় নয়।

কারণ হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের আগেই আমাদের ইসলামী শরিয়ত পূর্ণ হয়ে গেছে। কিয়ামত পর্যন্ত এই শরিয়ত পূর্ণাঙ্গরূপে সংরক্ষিত থাকবে। আল্লাহতায়ালা নিজে এই শরিয়ত, শরিয়তের দলিল ও দলিলের উৎসসমূহ হেফাজত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই শরিয়ত যেভাবে আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে আজ পর্যন্ত সেভাবেই সংরক্ষিত আছে। কুরআন যতদিন থাকবে, ততদিন থাকবে।

সে অনুযায়ী সবার আমল করা জরুরি। তাতে কোনো ধরনের সংযোজন-বিয়োজনের কোন অবকাশ নেই।

অতএব হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পরে সংঘটিত কোনো বিপদ বা আনন্দের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো দিন বা কোনো মাসের নতুন কোনো ফজিলত বা নতুন কোনো বিধান তৈরি করা যাবে না। এগুলো ইসলাম আদৌ সমর্থন করে না। ইবাদাত মনে করলে পথভ্রষ্টতা বৈ কিছু হবেনা।

দুঃখ ও আনন্দ উভয়টির বিধান শরিয়তে আছে এবং তা নির্ধারিত। আল্লাহ ররাসূল প্রেমিক সমস্ত উম্মতের ওপর ওয়াজিব হলো সেই হুকুম অনুযায়ী আমল করা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- বিপদ-আপদের সময় একজন বান্দার কী করণীয়, কী বর্জনীয় তার বর্ণনা আছে কুরআন-হাদিসে।

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদেরকে মৃত বলো না। প্রকৃতপক্ষে তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা (তাদের জীবিত থাকার বিষয়টা) উপলব্ধি করতে পারো না। আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব (কখনও) কিছুটা ভয়-ভীতি দ্বারা, (কখনও) জানমাল ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতির দ্বারা। সুসংবাদ শোনাও তাদেরকে, যারা (এরূপ অবস্থায়) সবরের পরিচয় দেয়। যারা কোনো মসিবত দেখা দিলে বলে ওঠে, আমরা সকলে আল্লাহরই এবং আমাদেরকে তার কাছেই ফিরে যেতে হবে। এরাই তারা, যাদের প্রতি তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে বিশেষ করুণা ও দয়া রয়েছে এবং এরাই আছে হেদায়েতের ওপর। -(সূরা বাকারা: ১৫৪-১৫৭)

এ আয়াতের আলোকে বুঝা গেল, কারবালায় হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতের ঘটনা আমাদের জন্য বিপদ ও মসিবতের বিষয়। এক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়তের হুকুম হলো, বিপদগ্রস্ত লোকেরা সবর করবে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়বে এবং আল্লাহতায়ালার কাছে পূণ্যতার আশা করবে।

কারও ইন্তেকালে শরিয়তের হুকুম হলো সবর করা অর্থাৎ ধৈর্যধারণ করা। অধৈর্য হয়ে অভিযোগপূর্ণ কোনো কথা বলা, বিলাপ করা, হাত পা ও বুক চাপড়ানো, চেহারা খামচানো, শোকের পোশাক পরা ইত্যাদি হারাম। ইসলামি শরিয়তে খুব কঠোরভাবে তা থেকে বারণ করা হয়েছে।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি মুখে আঘাত করে, জামার বুক ছিঁড়ে, জাহিলি যুগের (মতো) বিলাপ করে; সে আমাদের দলভুক্ত নয়। (-সহিহ বোখারি: ১/১৭২)

অন্য এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি ওই ব্যক্তি থেকে মুক্ত, যে শোকে মাথা মুণ্ডায়, বুক চাপড়ায় ও কাপড় ছিঁড়ে। (-সহিহ মুসলিম: ১৬৭)

হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতের পর থেকে তিন শ’ বছর পর্যন্ত ১০ মহররমে কান্নাকাটি, আহাজারি, চিৎকার ও বুক চাপড়ানো প্রথার কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। সর্বপ্রথম ৩৫২ হিজরিতে মুঈযযুদ দাওলা দাইলামি (একজন শিয়া) দশ মহররমে শুধু বাগদাদে হজরত হুসাইন (রা.)-এর জন্য মাতম করার হুকুম জারি করে। এরপর ৩৬৩ হিজরিতে মিসরেও এই হুকুম জারি করা হয়। সেই থেকে এই প্রথা শিয়াগোষ্টি সহ কোনো কোনো সম্প্রদায়ের মাঝে চলে আসছে।

তাই এমাস ও আশুরা উপলক্ষে কোন কুসংস্কার বদ রসম রেওয়াজ, শোক গাথা, তাজিয়া মিছিল বের করা, শোক প্রকাশার্তে শরীরকে রক্তাক্ত করা ইত্যাদি কোন কিছুই ঠিক নয়। বরং মারাত্মক গুনাহের কাজ।

তাই শুধু শাহাদাতে হুসাইন (রাঃ) এর কারবালার আশুরার তারিখ নয়, যেকোন বছর মাস সপ্তাহ বা দিবসকে উপলক্ষ করে শরিয়ত গর্হিত কোন কাজ করা ইসলাম কোনভাবে সমর্থন করেনা।

সুতরাং এসব অনৈসলামিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকে বেশি করে সালাত আদায় ছাদকা দোআ দরুদ তাওবা ইস্তেগফার করতে হবে।

বর্তমান এ মহা দুর্যোগ সময়ে যেখানে প্রতিদিন করোনা ভাইরাস ডেঙ্গু জর সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হলে সতর্ক সচেতনতার সাথে সাথে সমস্ত নাফরমানি থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে।

ঈমান আমল মজবুত করতে হবে। কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক বাধ্যতামূলক চলতে হবে।

এই কন্টেন্ট শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *